সফল ভাবে উৎক্ষেপন। কিন্তু মাঝ আকাশে দিকভ্রষ্ট হয়ে বিপদে পড়ল SpaceX এর স্টারশিপ ফ্লাইটের সপ্তম রকেট। তবে সেটিকে পুনরায় লঞ্চ প্যাডে ফেরাতে সফল হল মহাকাশ সংস্থাটি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সফলভাবে রকেট ক্যাচ করল স্পেসএক্স। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই। ভিডিয়ো দেখলে মনে হতে পারে এআই দিয়ে তৈরি, কিন্তু বাস্তবে পুরোটাই আসল।
বৃহস্পতিবার স্পেসএক্স তার স্টারশিপ রকেটের সপ্তম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করে। এটি সংস্থার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ ছিল। জানা গিয়েছে, টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের কাছে স্পেসএক্সের ‘স্টারবেস’ থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫:৩০ মিনিটের কিছু পরে এই উৎক্ষেপণটি সম্পন্ন হয়েছিল। কয়েক মিনিট পর, সুপার হেভি বুস্টারটি পুড়তে শুরু করে। পরিকল্পনা অনুসারে, বুস্টারটি স্টারশিপ মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পৃথিবীতে ফিরে আসে।
সেই বুস্টারটিকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ স্থানে ফিরিয়ে আনে স্পেসএক্স। এটি ক্যাচ করার জন্য একটি বিশেষ ‘মেকাজিলা’ টাওয়ার বানিয়েছে সংস্থা। শেষবার অক্টোবরে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের সময় একই রকম সাফল্য অর্জন করেছিল স্পেসএক্স।
উল্লেখ্য, বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই, স্টারশিপের উপরের স্তরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়ানের প্রায় নয় মিনিট পরে ডেটা ট্রান্সমিশন বন্ধ হয়ে যায় এবং স্পেসএক্সের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ড্যান হুট নিশ্চিত করেন যে তারা ধরে নিয়েছে রকেটটির সঙ্গে তাদের যোগাযো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এই যোগাযোগ ব্যর্থতা সত্ত্বেও, স্টারশিপ সিস্টেমকে আরও উন্নত করার জন্য ফ্লাইট থেকে মূল্যবান তথ্য সংগ্রহের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়।
কী বললেন ইলন মাস্ক?
এই ধরনের মহাকাশ অভিযানের রোমাঞ্চ উপভোগ করার জন্য প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। যদিও বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হতাশ হয়েছিলেন তারা। স্পেসএক্সের মুখপাত্র ড্যান হুট বলেন, “বুস্টারটি যখন একটু একটু করে নেমে আসছিল, তখন দারুন দেখতে লাগছিল। কিন্তু আমরা স্পষ্টতই রকেটটি নিয়ে হতাশ। তিনি আরও বলেন, তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং কী ঘটেছে তা বের করতে সময় লাগবে। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইলন মাস্ক ও।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত!”